প্রকাশ :
২৪খবর বিডি: ' প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক স্ট্যাটাসে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম এর লেখা ‘অ্যাট বঙ্গভবন: লাস্ট ফেজ’ বই থেকে উদ্বৃত করে লিখেছেন, বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম তার বইয়ে লিখেছেন, ‘জিয়া বঙ্গভবনে আসতেন মধ্যরাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে, তার সাঙ্গপাঙ্গরা অস্ত্র উঁচিয়ে রাখতো। আমি প্রায়ই মনে করতাম এটাই বোধহয় আমার শেষ রাত। '
*সংবিধানের ৪টি মূল স্তম্ভ বাতিল সংক্রান্ত একটি সামরিক ফরমান আমার কাছে স্বাক্ষরের জন্য আসে। আমি ওই ফরমানে স্বাক্ষর না করে, তা রেখে দেই। পরদিন রাত ১১টায় বুটের শব্দে আমার ঘুম ভাঙে। সেনাপ্রধান জিয়া অস্ত্রশস্ত্রসহ বঙ্গভবনে আমার শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন। জিয়াউর রহমান আমার বিছানায় তার বুটসহ পা তুলে দিয়ে বলেন, ‘সাইন ইট’। তার একহাতে ছিল স্টিক, অন্য হাতে রিভলভার।
'আমি কোনোমতে সাইন করে জীবন বাঁচলাম’ শিরোনামে লেখা জয় তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম এর লেখা ‘অ্যাট বঙ্গভবন: লাস্ট ফেজ’ বই থেকে অনেক অজানা ইতিহাস জানা যায়, যা দীর্ঘদিন ধামাচাপা দিয়ে রেখেছিল বিএনপি। বইটি থেকে আরও জানা যায়, রাষ্ট্রপতি সায়েমের একটাই দুঃখ ছিল যে, তিনি বাংলাদেশে নির্বাচন করে জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে যেতে পারেননি।'
' প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়া কীভাবে অস্ত্রের মুখে বাংলাদেশের সংবিধানকে অগ্রাহ্য করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন তা জানতে পারবেন এই ছোট এনিমেটেড ভিডিও থেকে। জিয়া রাষ্ট্রপতি সায়েম সাহেবকে কথাও দিয়েছিলেন তিনি নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু সে নির্বাচনে জিয়া সামরিক বাহিনীর প্রধান ও সামরিক আইন প্রশাসকের পদে থেকে নিজেই নিজেকে ‘হ্যাঁ’ ‘না’ ভোট আয়োজন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে, যা জাতির সঙ্গে সত্যিই এক বড় রকমের তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।'
'বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম এর লেখা ‘অ্যাট বঙ্গভবন: লাস্ট ফেজ’ বইটি ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয়। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার ৭ দিনের মধ্যে বইটি বাজেয়াপ্ত ও নিষিদ্ধ হয়।
সূত্র: বাসস